সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
তালতলী প্রতিনিধি॥ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনায় বরগুনার তালতলী উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন বেসরকারী ও সামাজিক সংগঠন ব্যাপক প্রচার- প্রচারনা ও জরিমানা চালিয়েও এ এলাকার মানুষকে সামাজিক দুরত্ব মানানো যাচ্ছে না।
সরেজমিনে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা সদরের বিভিন্ন স্পটে চায়ের দোকান, শহরের চৌরাস্তা, কাঁচা বাজার, মাছ বাজার, মাছের আড়ৎসহ অন্যান্য দোকান গুলোতে অনেক লোকের সমাগম হয়। যা চোঁখে পড়ার মত। করোনাভাইরাস সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনা বাড়াতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন বেসরকারী ও সামাজিক সংগঠন ব্যাপক প্রচার- প্রচারনা চালিয়ে লোকজনকে সামাজিকভাবে তিন ফুট দুরত্ব বজায় রেখে চলাচলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু তা মানছেননা এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ।
এছাড়া করোনাভাইরাস সচেতেনতায় বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও সামাজিক সংগঠনগুলো সকল জনসাধারণকে সর্তক হওয়ার জন্য হ্যান্ডবিল বিতরণ ও ব্যাপক মাইকিং করে প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারনকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করার পড়েও তারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন। আর যারা বের হচ্ছেন তাদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে বলা হয়। কে শুনে কার কথা। সামাজিক দূরত্ব নিয়ে চলাফেরা তো দূরের কথা অনেকেই হাত ধোয়া, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটেইজার ব্যবহার করেন না। অনেককে বিভিন্ন দোকানের সামনে গিয়ে একত্রে জড়ো হয়ে গা ঘেষে বসে আড্ডা দিতেও দেখা যায়।
অপরদিকে অনেক ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের অর্ধেক শাটার বা দরজা খুলে আবার কেউ কেউ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শাটার বন্ধ করে সামনে চেয়ার নিয়ে বসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দুরত্ব। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার নির্দেশনা থাকলে ও বিভিন্ন হাট- বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেও মানাতে পারছেন না সামাজিক দুরত্ব।
স্থানীয়রা বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপগুলো ইতিমধ্যে নিয়েছেন তা প্রশংসনীয়। আমরা কেহই সামাজিক দুরত্ব মেনে চলছিনা। যে কারনে ঝুঁকিতে রয়েছে গোটা উপজেলাবাসী।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, সামাজিক দুরত্ব না মানায় উপজেলার লাউপাড়া বাজারে ৪ জনকে ও নিউপাড়া বাজারে ১ জনকে জরিমানা করেছি। সামাজিক নিরাপত্তা মানাতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply